অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) হলো একটি সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার রিসোর্সগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে। এটি কম্পিউটারের মূল উপাদানগুলির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন প্রসেস ম্যানেজমেন্ট, মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট, এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের ম্যানেজমেন্ট। অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারের মধ্যে একটি ইন্টারফেস প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারের বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে সহায়ক।
১. প্রসেস ম্যানেজমেন্ট:
২. মেমোরি ম্যানেজমেন্ট:
৩. ফাইল ম্যানেজমেন্ট:
৪. ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট:
৫. ইউজার ইন্টারফেস (User Interface):
১. সিঙ্গেল ইউজার এবং সিঙ্গেল টাস্ক অপারেটিং সিস্টেম:
২. সিঙ্গেল ইউজার এবং মাল্টি-টাস্ক অপারেটিং সিস্টেম:
৩. মাল্টি-ইউজার অপারেটিং সিস্টেম:
৪. রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS):
৫. এম্বেডেড অপারেটিং সিস্টেম:
১. Windows:
২. Linux:
৩. macOS:
৪. Android:
৫. iOS:
১. ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারফেস প্রদান:
২. মাল্টি-টাস্কিং:
৩. সিস্টেম নিরাপত্তা:
১. খরচ:
২. জটিলতা:
অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) হলো একটি সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্যবহারকারী ও কম্পিউটারের মধ্যে একটি ইন্টারফেস সরবরাহ করে। এটি কম্পিউটারের প্রসেস, মেমোরি, এবং ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট করে। অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যেমন Windows, Linux, macOS, Android, এবং iOS, যা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।
ইউনিক্স (UNIX) হলো একটি শক্তিশালী এবং বহুমুখী অপারেটিং সিস্টেম, যা ১৯৬৯ সালে AT&T's Bell Labs-এ তৈরি করা হয়েছিল। এটি মূলত কম্পিউটার বিজ্ঞানী কেন থমসন, ডেনিস রিচি, এবং ডগলাস ম্যাকইলরয় দ্বারা বিকশিত হয়। ইউনিক্স মূলত বহুভুজ এবং মাল্টি-টাস্কিং ক্ষমতাসম্পন্ন একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা একাধিক ব্যবহারকারী এবং প্রক্রিয়া একই সময়ে পরিচালনা করতে পারে। এটি কম্পিউটার সার্ভার, ওয়ার্কস্টেশন, এবং মেইনফ্রেমে ব্যবহৃত হয় এবং আজকের অনেক আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
১. মাল্টি-ইউজার (Multi-User):
২. মাল্টি-টাস্কিং (Multi-Tasking):
৩. পোর্টেবিলিটি (Portability):
৪. হায়ারার্কিকাল ফাইল সিস্টেম (Hierarchical File System):
৫. সিকিউরিটি এবং পারমিশন:
৬. শেল এবং কমান্ড-লাইন ইন্টারফেস (Shell and CLI):
ইউনিক্সের গঠনমূলক উপাদানগুলো হলো:
১. কর্নেল (Kernel):
২. শেল (Shell):
৩. ফাইল সিস্টেম:
৪. ইউটিলিটি প্রোগ্রাম (Utility Programs):
ls
, cp
, grep
, awk
, sed
ইত্যাদি।১. ফাইল এবং ডিরেক্টরি ম্যানেজমেন্ট:
ls
: বর্তমান ডিরেক্টরির ফাইল এবং ডিরেক্টরি তালিকা প্রদর্শন করে।cd
: ডিরেক্টরি পরিবর্তন করে।mkdir
: নতুন ডিরেক্টরি তৈরি করে।rm
: ফাইল বা ডিরেক্টরি মুছে ফেলে।cp
: ফাইল বা ডিরেক্টরি কপি করে।২. ফাইল দেখার এবং সম্পাদনা করা:
cat
: ফাইলের বিষয়বস্তু প্রদর্শন করে।more
এবং less
: বড় ফাইলের বিষয়বস্তু ধাপে ধাপে দেখায়।nano
এবং vim
: টেক্সট এডিটর, যা ফাইল সম্পাদনা করতে ব্যবহৃত হয়।৩. সিস্টেম এবং প্রসেস ম্যানেজমেন্ট:
ps
: বর্তমান চলমান প্রক্রিয়ার তালিকা দেখায়।top
: রিয়েল-টাইম প্রসেস ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।kill
: একটি চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।৪. অন্যান্য কমান্ড:
chmod
: ফাইল বা ডিরেক্টরির পারমিশন পরিবর্তন করে।chown
: ফাইল বা ডিরেক্টরির মালিকানা পরিবর্তন করে।ping
: নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি পরীক্ষা করে।১. সার্ভার সিস্টেম:
২. ওয়েব হোস্টিং:
৩. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট:
৪. এন্টারপ্রাইজ এবং কর্পোরেট সিস্টেম:
সুবিধা:
সীমাবদ্ধতা:
ইউনিক্স হলো একটি শক্তিশালী, পোর্টেবল, এবং নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম, যা বড় এবং জটিল সিস্টেমের জন্য উপযোগী। এটি মাল্টি-ইউজার এবং মাল্টি-টাস্কিং সক্ষমতা, শেল প্রোগ্রামিং, এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করে। ইউনিক্স এবং এর ভিত্তিতে তৈরি সিস্টেমগুলো যেমন Linux সার্ভার, নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট, এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
DOS (Disk Operating System) এবং Windows হলো দুটি ভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে। DOS এবং Windows উভয়ই মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি, তবে তাদের গঠন, ব্যবহার এবং কার্যক্ষমতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে।
DOS হলো একটি প্রাথমিক এবং টেক্সট-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম, যা ১৯৮০-এর দশকে কম্পিউটারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হতো। DOS-এর কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং তথ্য:
১. টেক্সট-ভিত্তিক ইন্টারফেস:
২. সিঙ্গেল-টাস্কিং:
৩. সীমিত মেমোরি অ্যাক্সেস:
৪. ফাইল সিস্টেম:
৫. হালকা ও কম জটিল:
Windows হলো একটি আধুনিক এবং গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম, যা DOS-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে তবে অনেক উন্নত সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। Windows-এর কিছু বৈশিষ্ট্য:
১. গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI):
২. মাল্টিটাস্কিং সাপোর্ট:
৩. বিস্তৃত মেমোরি অ্যাক্সেস:
৪. আধুনিক ফাইল সিস্টেম:
৫. হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের বিস্তৃত সমর্থন:
বৈশিষ্ট্য | DOS | Windows |
---|---|---|
ইন্টারফেস | টেক্সট-ভিত্তিক CLI | গ্রাফিক্যাল GUI |
মাল্টিটাস্কিং | সিঙ্গেল-টাস্কিং | মাল্টিটাস্কিং সাপোর্ট |
মেমোরি অ্যাক্সেস | সীমিত মেমোরি (৬৪০ কিলোবাইট) | বড় মেমোরি অ্যাক্সেস (গিগাবাইট) |
ফাইল সিস্টেম | FAT | NTFS |
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স | টেক্সট কমান্ড, জটিল | মাউস, আইকন, উইন্ডো, সহজ এবং ইন্টারেক্টিভ |
প্রথমদিকে, Windows DOS-এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করত। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ হলো:
DOS হলো একটি প্রাথমিক, টেক্সট-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম যা একটি সিঙ্গেল-টাস্ক অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম। অন্যদিকে, Windows হলো একটি আধুনিক, গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম, যা মাল্টিটাস্কিং, উন্নত মেমোরি ম্যানেজমেন্ট এবং গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস সাপোর্ট প্রদান করে। DOS এবং Windows-এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, Windows-এর প্রথম দিকের সংস্করণগুলো DOS-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল, যা সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে।
ম্যাক ওএস (Mac OS) হলো অ্যাপলের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের জন্য ডিজাইন করা একটি অপারেটিং সিস্টেম। এটি মূলত ম্যাকিনটশ (Macintosh) কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এটি অ্যাপলের নিজস্ব হার্ডওয়্যার ডিভাইসের সঙ্গে সুসংগতভাবে কাজ করে। ম্যাক ওএস ব্যবহারকারীদের একটি শক্তিশালী, নির্ভরযোগ্য, এবং ব্যবহার-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে, যা ক্রিয়েটিভ প্রফেশনাল, ডেভেলপার, এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী।
১. প্রাথমিক সংস্করণ (System Software):
২. Mac OS Classic:
৩. Mac OS X:
৪. macOS:
১. ব্যবহার-বান্ধব ইন্টারফেস:
২. মাল্টিটাস্কিং এবং ফাইল ম্যানেজমেন্ট:
৩. সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি:
৪. ইকোসিস্টেম ইন্টিগ্রেশন:
৫. অ্যাপ স্টোর এবং সফটওয়্যার সাপোর্ট:
১. মাল্টিটাস্কিং এবং ইফিসিয়েন্ট ইউজার ইন্টারফেস:
২. উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
৩. অ্যাপল ইকোসিস্টেমে ইন্টিগ্রেশন:
৪. দ্রুতগতি এবং স্ট্যাবল অপারেশন:
১. উচ্চ মূল্য:
২. সফটওয়্যার কম্প্যাটিবিলিটি:
৩. হার্ডওয়্যার আপগ্রেডের সীমাবদ্ধতা:
ম্যাক ওএস (Mac OS) হলো অ্যাপলের ম্যাকিনটশ কম্পিউটারের জন্য তৈরি একটি শক্তিশালী এবং ব্যবহার-বান্ধব অপারেটিং সিস্টেম, যা উন্নত নিরাপত্তা, ইফিসিয়েন্ট ইউজার ইন্টারফেস, এবং অ্যাপল ইকোসিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনের সুবিধা প্রদান করে। এটি ক্রিয়েটিভ প্রফেশনাল এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দ হলেও, উচ্চ মূল্য এবং কিছু সফটওয়্যার কম্প্যাটিবিলিটির কারণে এটি সবার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে।
লিনাক্স (Linux) হলো একটি ওপেন সোর্স, ইউনিক্স-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম, যা সাধারণত সার্ভার, ডেস্কটপ, মোবাইল ডিভাইস এবং এমবেডেড সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স, যার মানে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এটি পরিবর্তন, কাস্টমাইজ এবং পুনরায় বিতরণ করতে পারে। এটি বিভিন্ন বিতরণে (ডিস্ট্রিবিউশন) পাওয়া যায়, যেমন উবুন্টু (Ubuntu), ডেবিয়ান (Debian), ফেডোরা (Fedora), এবং আরও অনেক।
১. ওপেন সোর্স (Open Source):
২. নিরাপত্তা (Security):
৩. মাল্টি-টাস্কিং এবং মাল্টি-ইউজার (Multitasking and Multi-user):
৪. স্টেবিলিটি (Stability):
৫. কাস্টমাইজেশন (Customization):
১. কোর (Kernel):
২. শেল (Shell):
৩. ফাইল সিস্টেম (File System):
৪. ডেমন (Daemon):
৫. গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI):
লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন রয়েছে, যেগুলি ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করা হয়। কিছু জনপ্রিয় ডিস্ট্রিবিউশন হলো:
১. উবুন্টু (Ubuntu):
২. ডেবিয়ান (Debian):
৩. ফেডোরা (Fedora):
৪. আর্চ লিনাক্স (Arch Linux):
১. সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম:
২. ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম:
৩. ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট:
৪. এমবেডেড সিস্টেম এবং IoT ডিভাইস:
সুবিধা:
সীমাবদ্ধতা:
লিনাক্স (Linux) হলো একটি ফ্রি, ওপেন সোর্স, এবং ইউনিক্স-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম, যা সার্ভার, ডেস্কটপ, এবং এমবেডেড সিস্টেমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি লিনাস টরভাল্ডস ১৯৯১ সালে তৈরি করেন এবং এটি বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন আকারে পাওয়া যায়, যেমন Ubuntu, Debian, Fedora, এবং Arch Linux। লিনাক্সের ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং কাস্টমাইজেশন ক্ষমতা এটি ডেভেলপার, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আদর্শ অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত করেছে। এটি নিরাপদ, স্থিতিশীল, এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন হওয়ায় বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং ডেটা সেন্টার থেকে শুরু করে ছোট কম্পিউটার এবং IoT ডিভাইস পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়।
লিনাক্সের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ওপেন সোর্স, মাল্টি-ইউজার এবং মাল্টি-টাস্কিং ক্ষমতা, কাস্টমাইজেশন সুবিধা, এবং স্থিতিশীলতা। তবে, কিছু সফটওয়্যার কম্প্যাটিবিলিটি সমস্যা এবং শেখার জটিলতার কারণে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি ব্যবহার কিছুটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবুও, লিনাক্স তার ফ্রি এবং ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং উচ্চ নিরাপত্তার কারণে আধুনিক প্রযুক্তি জগতের একটি অপরিহার্য অংশ।
অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) হলো একটি সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজ হলো ডিভাইসের মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, প্রসেস ম্যানেজমেন্ট, ফাইল ম্যানেজমেন্ট, এবং হার্ডওয়্যার ম্যানেজমেন্ট। অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, এবং এগুলো কাজের ধরন, ব্যবহারের প্রয়োজন, এবং প্রযুক্তি অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে।
প্রকার | বৈশিষ্ট্য | উদাহরণ |
---|---|---|
সিঙ্গেল ইউজার | কেবল একজন ব্যবহারকারী সাপোর্ট করে | MS-DOS, Windows XP |
মাল্টি-ইউজার | একাধিক ব্যবহারকারী সাপোর্ট করে | UNIX, Linux |
রিয়েল-টাইম | নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করে | VxWorks, FreeRTOS |
সিঙ্গেল টাস্কিং | একবারে একটি কাজ সম্পন্ন করে | MS-DOS |
মাল্টি-টাস্কিং | একসঙ্গে একাধিক কাজ সম্পন্ন করে | Windows, Linux |
ডিস্ট্রিবিউটেড | একাধিক ডিভাইসের সমন্বয় সাধন করে | Amoeba, Plan 9 |
এমবেডেড | বিশেষায়িত ডিভাইসে ব্যবহৃত হয় | FreeRTOS, Embedded Linux |
নেটওয়ার্ক | নেটওয়ার্ক পরিচালনা এবং পরিষেবা সরবরাহ করে | Windows Server, UNIX |
মোবাইল | মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহৃত হয় | Android, iOS |
অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে সিঙ্গেল ইউজার, মাল্টি-ইউজার, রিয়েল-টাইম, এমবেডেড, এবং মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এগুলোর কাজের ধরন, প্রযুক্তি, এবং ব্যবহারের প্রয়োজন অনুসারে ভিন্নতা থাকে। প্রতিটি প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম নির্দিষ্ট ডিভাইস বা পরিবেশে কার্যকরভাবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
ফাইল ম্যানেজমেন্ট (File Management) হলো একটি প্রক্রিয়া যা কম্পিউটারে বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ফাইল তৈরি, সংরক্ষণ, সংগঠিত, অনুসন্ধান, এবং পরিচালনার কাজ করে। এটি ফাইলের স্থান নির্ধারণ, নিরাপত্তা, ব্যাকআপ, এবং ফাইল শেয়ারিং সহজ করে, যা ব্যবহারকারীকে তাদের তথ্য সংগঠিতভাবে সংরক্ষণ এবং পরিচালনা করতে সহায়ক। ফাইল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজে ফাইল তৈরি, মুছা, স্থানান্তর এবং কপি করতে পারে।
১. ফাইল:
২. ফোল্ডার/ডিরেক্টরি:
৩. ফাইল সিস্টেম:
ফাইল ম্যানেজমেন্টের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, যা ব্যবহারকারীদের ফাইল তৈরি, মুছা, কপি, এবং স্থানান্তর করতে সহায়ক। কিছু জনপ্রিয় ফাইল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হলো:
১. Windows File Explorer:
২. macOS Finder:
৩. Linux File Managers (Nautilus, Thunar):
১. ফাইল তৈরি করা:
২. ফাইল মুছা (Deleting Files):
৩. ফাইল কপি এবং স্থানান্তর:
৪. ফাইল রিনেম (Renaming Files):
৫. ফাইল কম্প্রেশন:
৬. ফাইল সিকিউরিটি এবং পারমিশন:
১. সহজ এবং দ্রুত ফাইল অ্যাক্সেস:
২. ফাইল সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা:
৩. ফাইল শেয়ারিং:
৪. ফাইল অনুসন্ধান এবং রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট:
১. ডেটা লসের ঝুঁকি:
২. সংগঠন সমস্যা:
৩. ব্যাকআপ এবং নিরাপত্তার জটিলতা:
ফাইল ম্যানেজমেন্ট হলো কম্পিউটারে বা অন্য ডিভাইসে ফাইল সংগঠিত করা, তৈরি করা, মুছা, কপি, এবং স্থানান্তর করার একটি পদ্ধতি। এটি ব্যবহার করে সহজে এবং দ্রুত ফাইল অ্যাক্সেস, শেয়ারিং, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ফাইল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফাইল এবং ফোল্ডার সংগঠিত রাখা যায়, যা ব্যবহারকারীদের ডেটা কার্যকরীভাবে পরিচালনা করতে সহায়ক।
কমন উইন্ডোজ ডেস্কটপ আইটেম হলো এমন কিছু উপাদান যা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ডিফল্টভাবে ডেস্কটপে প্রদর্শিত হয়। এগুলি ব্যবহারকারীদের দ্রুত অ্যাক্সেস এবং কাজের সুবিধার্থে রাখা হয়। উইন্ডোজ ডেস্কটপ সাধারণত একটি ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসের অংশ, যেখানে বিভিন্ন ফাইল, ফোল্ডার, অ্যাপ্লিকেশন, এবং শর্টকাট সংরক্ষিত থাকে।
১. রিসাইকেল বিন (Recycle Bin):
২. মাই কম্পিউটার / দিস পিসি (My Computer / This PC):
৩. নেটওয়ার্ক (Network):
৪. ডকুমেন্টস (Documents):
৫. শর্টকাট (Shortcuts):
৬. কন্ট্রোল প্যানেল (Control Panel):
৭. ফাইল এক্সপ্লোরার (File Explorer):
৮. ব্যাকগ্রাউন্ড / ওয়ালপেপার (Background / Wallpaper):
৯. টাস্কবার (Taskbar):
১০. গ্যাজেটস (Gadgets): - পুরোনো উইন্ডোজ ভার্সনে গ্যাজেটস (যেমন ঘড়ি, ক্যালেন্ডার, ওয়েদার অ্যাপ) ডেস্কটপে রাখা যেত। যদিও এটি নতুন উইন্ডোজ ভার্সনে আর পাওয়া যায় না, তবে কিছু ব্যবহারকারী থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে গ্যাজেটস যোগ করে থাকেন।
কমন উইন্ডোজ ডেস্কটপ আইটেম হলো এমন কিছু উপাদান যা ডেস্কটপে ডিফল্টভাবে পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারকারীদের দ্রুত ফাইল, ফোল্ডার, এবং প্রোগ্রাম এক্সেস করতে সহায়ক হয়। এদের মধ্যে রিসাইকেল বিন, মাই কম্পিউটার, ডকুমেন্টস, এবং নেটওয়ার্ক অন্যতম। উইন্ডোজ ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের কাস্টমাইজেশনের সুযোগও প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীদের কাজের সুবিধা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
ফার্মওয়্যার (Firmware) হলো একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার, যা হার্ডওয়্যার ডিভাইসের কার্যপ্রণালী নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডিভাইসের মেমোরিতে (যেমন ROM, EPROM, বা ফ্ল্যাশ মেমোরি) স্থায়ীভাবে ইনস্টল করা থাকে এবং এটি ডিভাইসের অপারেশন সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশনের চেয়ে নিম্ন স্তরের কাজ সম্পাদন করে। ফার্মওয়্যার ডিভাইসের মৌলিক কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
১. হার্ডওয়্যারে স্থায়ীভাবে ইনস্টল:
২. ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ:
৩. সাধারণত স্থিতিশীল:
১. বায়োস (BIOS):
২. রাউটারের ফার্মওয়্যার:
৩. মোবাইল ফোনের ফার্মওয়্যার:
ফার্মওয়্যার আপডেট ডিভাইসের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে, নতুন ফিচার সংযোজন করতে, এবং নিরাপত্তা ত্রুটি সংশোধন করতে ব্যবহৃত হয়। ফার্মওয়্যার আপডেট সাধারণত প্রস্তুতকারক দ্বারা সরবরাহ করা হয় এবং কিছু ডিভাইসে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল হতে পারে। উদাহরণ:
১. স্ট্যাবিলিটি এবং রিলায়েবিলিটি:
২. কম খরচ:
৩. নিয়ন্ত্রণ এবং পারফরম্যান্স বৃদ্ধি:
১. সীমিত আপডেট ক্ষমতা:
২. নিরাপত্তা ঝুঁকি:
৩. প্রযুক্তিগত জটিলতা:
ফার্মওয়্যার (Firmware) হলো একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার, যা হার্ডওয়্যার ডিভাইসের মৌলিক কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এটি স্থায়ীভাবে ডিভাইসের মেমোরিতে সংরক্ষণ করা থাকে এবং সাধারণত পরিবর্তন হয় না। যদিও কিছু ডিভাইস ফার্মওয়্যার আপডেট সমর্থন করে, এটি সাধারণত স্ট্যাবল এবং নির্ভরযোগ্য হয়। ফার্মওয়্যার ডিভাইসের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে এবং ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বুটিং (Booting) হলো কম্পিউটার বা কোনো ডিভাইস চালু করার প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সিস্টেমটি অপারেটিং সিস্টেম (OS) লোড করে এবং ডিভাইসকে প্রস্তুত করে তোলে। বুটিং প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিভাইসের পাওয়ার বাটন চাপার পর এবং শেষ হয় যখন অপারেটিং সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে লোড হয়ে ব্যবহারকারীর জন্য প্রস্তুত হয়। এটি মূলত হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারকে সমন্বিত করে কাজের জন্য তৈরি করে।
১. পাওয়ার-অন সেলফ টেস্ট (POST):
২. বায়োস/ইউইএফআই (BIOS/UEFI):
৪. অপারেটিং সিস্টেম লোডিং:
৫. ইনিশিয়ালাইজেশন এবং লগইন স্ক্রিন:
১. কোল্ড বুট (Cold Boot) বা হার্ড বুট:
২. ওয়ার্ম বুট (Warm Boot) বা সফট বুট:
বুটলোডার হলো একটি প্রোগ্রাম, যা অপারেটিং সিস্টেম লোড করার জন্য দায়ী। এটি BIOS/UEFI থেকে কন্ট্রোল নিয়ে অপারেটিং সিস্টেমের কোর এবং প্রয়োজনীয় মডিউল লোড করে। বুটলোডার বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যেমন:
বুটিং প্রক্রিয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:
সমাধান:
বুটিং হলো কম্পিউটার বা ডিভাইস চালু করার প্রক্রিয়া, যা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সমন্বিত করে অপারেটিং সিস্টেম লোড করে এবং সিস্টেমকে ব্যবহার উপযোগী করে। এটি POST, BIOS/UEFI, বুটলোডার, এবং অপারেটিং সিস্টেম লোডিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বুটিং প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঠিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন, যাতে সিস্টেম কার্যক্ষম থাকে।
autoexec.bat
config.sys
command.com
io.sys
None of these
Read more